ফেনীতে বিএনপি’র দলীয়অভ্যন্তরীণ বিরোধ সম্প্রতি প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। গত একমাসে বিএনপি ও ছাত্রদলের স্বদলীয় হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও কুপিয়ে জখমের একাধিক ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার একাধিক মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সাজিয়ে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু আসামি করে ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলেও নির্যাতিতদের স্বজনরা দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলন করে লেমুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলকর্মী আবদুর রহমান শামীমের স্বজনরা। লিখিত অভিযোগে শামীমের বড় ভাই আবদুর রহিম বলেন, দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে গত ১১ই
সেপ্টেম্বর লেমুয়াতে শামীমকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের কর্মীরা। এ ঘটনায় সে বাদী হয়ে ছয়জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় বিএনপি’র নেতাদের ইন্ধনে একটি পক্ষ গত ১৮ ও ২৪শে সেপ্টেম্বর দুটি মামলা দায়ের করে। গত ৪ঠা আগস্ট ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় হত্যাচেষ্টার দুটি মামলায় (১৮ ও ২৪শে সেপ্টেম্বরের দায়েরকৃত সেই মামলায়) এজহারনামীয় আসামি করা হয় আবদুর রহমান শামীমকে। মামলায় শামীমকে ছাত্রলীগ নেতা বলে দাবি করা হয়। মামলাগুলোর এজহারনামীয় আসামি হওয়ায় গত ২৪শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে লেমুয়ার তেরোবাড়িয়া ইসমাইল কাজী বাড়ি থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বুধবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে
জেলহাজতে পাঠানো হয়। শামীমের মা ছালেহা খাতুন বলেন, শামীম কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। দলীয় কোন্দলের কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা মিথ্যা মামলাগুলো থেকে শামীমকে অব্যাহতি দেয়ার ও মুক্তির অনুরোধ জানাচ্ছি। লেমুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শামীম মাঠে মিছিল- মিটিং-এ সক্রিয় ছিল। পৌর ও সদর উপজেলা বিএনপি’র কিছু সিনিয়র নেতার আক্রোশের শিকার হয়ে শামীম মামলার আসামি হয়েছে। তার হাতে যে অস্ত্রের ছবি দেখানো হয়েছে সেটি সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকরামুজ্জামন রাজু কয়েক মাস আগে হাতে ধরিয়ে ছবি তোলে গণমাধ্যমে ছেড়ে দেয়।